ফুটবল বিশ্বকাপ কে বানিয়েছে ১৯৩০ সাল থেকে চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এখানে প্রতিযোগিতা আছে পুরস্কার তো থাকবেই। আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন জেগেছে পুরস্কার হিসেবে দেয়া সেই মহার্ঘ সেই সোনার হরিণ কারা বানায়? কিতা শানে নুযুল তবে আজ আপনাদের জানাবো একটি পরিবারের গল্প যারা ৫০ বছর ধরে পানি আসছে ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফি যদিও ১৯৭০ সালের আগে এখনকার ১৮ ক্যারেট খাঁটি সোনায় তৈরি ১৪ ইঞ্চি লম্বা ও ১৩ পাউন্ড ওজনের এই বিশ্বকাপ শিরোপা নাম ছিল জুলেরিমে ট্রফি।
ফুটবল বিশ্বকাপ ফিফার তৃতীয় সভাপতি কে?
ফিফার তৃতীয় সভাপতি জুলেরিমে নাম অনুযায়ী ১৯৪৬ সাল থেকে এই নাম দেয়া হয়। নতুন কাপ না বানিয়ে শুধু হাত বদল করার পর পর তিনবার ট্রফি জিতল পুরোপুরি হস্তান্তর করার নিয়ম অনুযায়ী ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলকে চিরতরে কাপ দিয়ে দেয়া হলে ফিফা হাতে নিতে হয় নতুন ট্রফি বানানোর প্রক্রিয়ায়।
এর পরেই গাজ্জানিগা পরিবারের সূর্য উঠে পূর্ব দিকে। ১৯৭১ সালের ৭ দেশের ভাস্কর থেকে মোট ৫৩ ডিজাইন স্থাপন করা হয়। লড়াই জিতে যান সিলভীও গাজ্জানিগা এরপর সে ট্রফির নাম দেয়া হয় ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি। এবং সেটিকেই এখন বিশ্বকাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বিজয়ীর হাতে তুলে দেয়া হয় একটি রেপ্লিকেট ট্রাফি নতুন ট্রফিটি ছিল ৫ কেজি যা আগের চেয়ে দুই কেজি ভারী আর নকশা ভিন্য। কাপটি এতটাই নান্দনিক যদি কোন পাশ থেকে ছবি তুললেই জেনো মনে হয় পুরো বিশ্ব মানচিত্রের ঝলক চোখের সামনে প্রকট হয়ে দাঁড়ায়।
ট্রফির বৃত্তের ব্যাস ১৩ সেপ্টেম্বর দুই স্তরের মেলা সাইডবার সবুজ পাথর দ্বারা আবৃত। এই দুই ইসতর সবুজ ফুটবল মাঠ কে ইংগিত করে আর কাপের উপরের দিকে দুইটি মনুষ্য মূর্তি দেখা যায় যারা গোলাকার পৃথিবীর সরুপ ধরে রাখে।
২০০২ সালে সিলভীও গাজ্জানিগা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন এই ট্রফি কে তিনি বীরত্বের পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করে নকশা করেছিলেন। কিন্তু কোন সুপারহিউম্যান বিরক্ত ভেবে নয় এটা প্রচলিত কোনো কাজ নয়।
২০১৬ সালে শেষ নিঃশ্বাস তেগ করে। তার ছেলে বলেন আয়োজকরা নকশাটি দেখার সাথে সাথে বলেছিলেন এটি খুবই নফটোজেনিক একটি নকশা হবে এটি হাতে তুলে ধরার সহজ এবং তুলে ধরার পর দেখতেও নান্দনিক লাগে।
কিন্তু অবাক হবার মত ব্যাপার হলেও সত্যি ফিফার এই প্রতিযোগিতার শর্ত ছিল যে বিজয়ী তার কাছে স্বত্বাধিকার থাকবে না। তাই বিশ্বকাপ ট্রফির নকশা করেও পারনি কানাকড়িও তবে তিনি এরপর আরো অনেক কিছু করার সুযোগ পান।
আসল ট্রফিটির দেখা মেলে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা কাপ ফুটবল মিউজিয়ামে আর, কোকাকোলার সৌজন্যে প্রায়ই বিশ্ব ভুমনে বের হয় এই মহামূল্যবান আসল ট্রফি টি।
ফুটবল বিশ্বকাপ হয়তো চার বছর ঘুরে ঘুরে আবার আসবে নতুন কিৃছু নিয়ে কিছু স্মৃতির পাতায় সোনার অক্ষরে ভাস্বর হয়ে থাকবে একটি নাম সিলভিও গাজ্জানিগা এক বিস্ময়কর নকশাকার।