মাশরুম খাওয়ার নিয়ম | কেন মাশরুম চাষ করবেন?

মাশরুম খাওয়ার নিয়ম কেন মাশরুম চাষ করবেন

মাশরুম খাওয়া ও মাশরুম চাষের যৌক্তিকতা মাশরুম খাওয়ার নিয়ম কেন মাশরুম খাবেন প্রিয় পাঠক আমাদের ইতঃপূর্বের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে ইতিহাস ঐতিহ্য, ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য ধর্মের আলোকে এবং বিজ্ঞানাগারের চুলচেরা গবেষণালব্ধ তথ্য ভর ও উপাত্তের আলোকে মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং ঔষধিগুণ সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা দিতে চেষ্টা করেছি। সেইসাথে এটাও বোঝাতে চেষ্টা করেছি আমরা যে মাশরুম চাষ করা এবং খাবারের জন্যে বলছি সেটা কিন্তু মোটেও ব্যাঙের ছাতা নয়! বাস্তবে বনজঙ্গলে ঝোপঝাড়ে নোংরা পরিবেশে মাশরুমের মতো দেখতে যেটা গজিয়ে থাকে সেটাই হলো ব্যাঙের ছাতা।

প্রকারাস্তরে, আমি বলেছি সেই মাশরুমের কথা যেটা হলো একধরনের সুস্বাদু, অত্যধিক পুষ্টিকর, প্রচণ্ড রকমের ঔষধি গুণসম্পন্ন সম্পূর্ণ হালাল সবজি। খাওয়ার উপযোগী মাশরুম; গবেষণাগারে উদ্ভাবিত বীজ দ্বারা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষাবাদ করে খাওয়া হয়।

আমার সবিশেষ অনুরোধ যারা আপনারা প্রথমে সবজি হিসেবে মাশরুম গ্রহণ করার জন্যে মনস্থির করছেন বা করবেন, তারা সর্বপ্রথম ওয়েস্টার মাশরুম গ্রহণের চেষ্টা করুন। কারণ ওয়েস্টার মাশরুম দেখতে খুব সুন্দর এবং সাদা রঙের ফুলের পাপড়ির মতো। তরতাজা ওয়েস্টার মাশরুম দেখলে আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে। সুতরাং মোটা দাগে আমার বিনীত অনুরোধ নিম্নোক্ত কয়েকটি বিশেষ কারণে আপনি নিজে মাশরুম খাবেন এবং আপনার নিকটজনদেরকে মাশরুম খাওয়াতে উদ্‌বুদ্ধ করবেন।

মাশরুম খাওয়ার নিয়ম

 মাশরুম খাবেন শরীরকে সুস্থ সবল ও নীরোগ রাখতে।

তবে যেভাবেই গ্রহণ করুন না কেন ভাল এবং ফ্রেশ মাশরুম খাওয়ার অভ্যাস করবেন ।

মাশরুমের স্বাদ কেমন সেটা নিয়ে একদম ভাববেন না। মাশরুমের রন্ধন প্রণালির বিস্তারিত আমরা আপনাকে জানিয়ে দেব আর সেটা অনুসরণ করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন মাশরুম কতটা সুস্বাদু আর পুষ্টিকর সবজি। মাশরুম কমবেশি সকল রোগের মহৌষধ যাকে বলা হচ্ছে

সর্বরোগহর”। তাই নিয়মিত কিছু মাশরুম খাওয়াটা জরুরি। সুষম খাদ্যের যে ৬টি বিশেষ উপাদান, সেসব উপাদানের সবগুলোই মাশরুমের মধ্যে আছে। সুতরাং মাশরুম একটি আদর্শ খাবার সে কথা সন্দেহাতীতভাবেই বলা যায়।

সবজির বিকল্প হিসেবে আপনি মাশরুম খাবেন। প্রতিদিনের সবজি চাহিদা মেটানোর অন্যতম উপায় হলো মাশরুম।

মাশরুম এমন একটা সবজি যা আপনি তরতাজা ও শুকনা অবস্থায় খেতে পারবেন। এমনকি গুঁড়া মাশরুম চায়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।

সব ধরনের রোগ নিরাময়, রোগের উপশম এবং শরীরের ব্যথা বেদনায় মাশরুম ভালো কাজ করে। তাই যাদের শরীরে বিষব্যথা আছে তারা নিয়মিত মাশরুম খাবেন ।

যাদের ডায়াবেটিস ও হৃরোগ আছে তাদের অবশ্যই নিয়মিত মাশরুম খাওয়া জরুরি। এসব রোগীদের জন্যে সবচেয়ে ভালো পরামর্শ হলো সকালে আপনার নাস্তার জন্যে তৈরি করা রুটির আটা বা ময়দার সাথে ১/২ চা চামচ মাশরুম গুঁড়া মিশিয়ে রুটি তৈরি করে সেই রুটি সবজি বা অন্য তরকারি নিয়ে যাওয়া।

শরীরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মাশরুমের জুড়ি নেই।

মাশরুম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। নিয়মিত মাশরুম গ্রহণকারীদের শরীরে সহসা বয়স বাড়ার ছাপ পড়ে না।

সৌন্দর্য সচেতন মহিলার রূপচর্চার কাজে মাশরুম নানাভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে যত কথাই বলি না কেন, মাশরুম গ্রহণের আগে আপনার মনস্থির (mind set) করাটা সবিশেষ জরুরি। আপনার মন যদি না চায় তাহলে জোর করে সেটা খেতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

আমরা তো হুজুগে মাতোয়ারা বাঙালি। চটকদার কথায় সম্মোহিত হয়ে ভালোটাকে বাদ দিয়ে মন্দটাকে আগে লুফে নিতে অগ্রভাগে থাকি।

দয়া করে মাশরুম গ্রহণের ক্ষেত্রে সেটা করবেন না। ভালো মাশরুম চিনে বা বুঝে তবেই সেটা গ্রহণ করবেন। আপনাদের কাছে এটা আমার বিনম্র অনুরোধ।

মাশরুম খেতে চাইলে বা এটার চাষ করতে চাইলে আপনি কোথায় কার সাথে কখন কীভাবে যোগাযোগ করবেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আপনি এই বইয়ের মাধ্যমে জানতে পারবেন। অতএব প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আর দেরি নয় যদি সুস্থ সবল দেহ চান, নিয়মিত মাশরুম খান”।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *