মাশরুমের জাত

মাশরুমের জাত
Rate this post

বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুমের জাত পরিচিতি বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুমের মধ্যে ওয়েস্টার মাশরুম জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও আরও কিছু কিছু মাশরুমের চাষ হয়ে থাকে। ওয়েস্টার মাশরুমের সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হচ্ছে একটু সতর্ক হলে এটা সারাবছরই চাষ করা যায়। আমাদের দেশের সাধারণ আবহাওয়ায়। এছাড়া ভোক্তাদের কাছে এই মাশরুমের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক বেশি। বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুমকে মৌসুমের ওপরে ভিত্তি করে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি।

যেমন:

গ্রীষ্মকালীন মাশরুম। মিল্কি, ঋষি ও স্ট্র মাশরুম। শীতকালীন মাশরুম: বাটন, শীতাকে ও কিং ওয়েস্টার মাশরুম। সারাবছর চাষযোগ্য মাশরুম: ওয়েস্টার ও কান মাশরুম। বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুমের কিছু সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: ওয়েস্টার মাশরুম (Oyster Mushroom): ওয়েস্টার মাশরুমের মধ্যে আবার বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এগুলোর পৃথক পৃথক পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো:

(ক) ট্রি ওয়েস্টার মাশরুম: এই মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus astreatus: মূলত সাদা রঙের ফুলের পাপড়ির মতো দেখতে এই মাশরুমটিই আমাদের দেশে বেশি চাষ হয়ে থাকে এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

(খ). পিঙ্ক ওয়েস্টার মাশরুম। এই মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus djmour: এই মাশরুমের রং গোলাপি, খুব দ্রুত বড়ো হয় গরমের দিনে খুব ভালো জন্মে। মাশরুমের নাম মাশরুমের বৈজ্ঞানিক নাম

(গ). ম্যাপল ওয়েস্টার মাশরুম: বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus cystidiosus. হালকা কালচে রঙের। সারাবছরই জন্মে তবে শীতকালে বেশি ভালো হয়।

(ঘ), গোল্ডেন ওয়েস্টার: বৈজ্ঞানিক নাম: Pleuronus citrinopleatus: হলুদ , চাষ হয় তবে শীতকালে বেশি ফলন দেয়। রিং হ্যান্ডেল মাশরুম: এই মাশরুমের মধ্যে আবার বেশ কয়েক প্রজাতির মাশরুম পাওয়া যায় । বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus geesternus: হালকা কালচে রঙের। সারাবছরই জন্মে তবে শীতকালে বেশি ভালো হয়।

বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus Florida তবে শীতকালে বেশি ভালো হয়। Pleurotus Florida বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus sajor-caju: কালচে রঙের। সারাবছরই জন্মে তবে শীতকালে বেশি ভালো হয়।

১. শীতকালে বেশি ভালো হয়। (3) (8) বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus highking 51: হালকা বেগুনি রঙের। বৈজ্ঞানিক নাম: Pleurotus sapidus: ধূসর রঙের। সারাবছরই জন্মে তবে শীতকালে বেশি ভালো হয়। কান মাশরুম

(Ear Mushroom : Auricularia auricula): গাঢ় চকলেট রঙের হয়ে থাকে। তবে কান মাশরুমও ওয়েস্টার মাশরুমের মতো সারাবছরই চাষাবাদ করা যায়। মিষ্টি হোয়াইট মাশরুম (Milky White Mushroom: Calocybe indica) ধবধবে সাদা রঙের, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে চাষাবাদ করা যায়। হ্যাঁ মাশরুম (Straw Mushroom: Volariella volvacea): কালচে রঙের, গ্রীষ্ম •

বর্ষাকালে চাষাবাদ করা যায়। ঋষি মাশরুম (Reishi Mushroom: Ganoderma lucidum) : লাল রঙের ঔষধি মাশরুম। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় চাষ করা যায়। এই মাশরুম চীনে ভীষণভাবে জনপ্রিয়। তাকে মাশরুম (Shiitake Mushroom: Lentinus edodes): গাঢ় য়ের মাশরুম। শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। শীতাকে মাশরুম বাটন মাশরুম (Button Mushroom : Agaricus bisporus: A. blest) :

সাদা গোলাকার মাশরুম। শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। bitorquis, A. বিদেশে মাঙ্কিহেড মাশরুম (Monkey Head Mushroom : Hericium erinaceus) :

ভূলার বলের মতো সাদাটে মাশরুম। শীতকালের মাশরুম। কিং ওয়েস্টার (King Oyster : Pleurotus eryngii): ওয়েস্টার মাশরুম হলেও এটি শীতকালে চাষ হয়ে থাকে। দণ্ডাকৃতির সাদাটে মাশরুম ।

মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট

মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট (Mushroom Development Institute MDI) জাতীয় বীজ বোর্ডের যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে ২০১২ সালে মোট ৯টি মাশরুমের জাত উদ্ভাবন করেছে। এদের মধ্যে মোট ৬টি ওয়েস্টার মাশরুমের জাত আর কবি মিষ্টি ও শীতাকে মাশরুমের ১টি করে জাত অবমুক্ত করা হয়েছে। এসব মাশরুমের বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো।
এখানে বলে রাখা ভালো যখন এসব মাশরুমের জাত অবমুক্ত করা হয় তখন মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের নাম ছিল জাতীয় মা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র (National Mushroom Development & Extension) National Mushroom Development & Extension এর সংক্ষিপ্তরূপ NAMDEK বা ন্যামডেক হিসেবে প্রতিটি অবমুক্ত জাতের মাশরুমের নামের আগে ন্যামচের শব্দটি বসানো হয়েছে।
ন্যামডেক ওয়েস্টার ১: দেখতে ধোঁয়াটে সাদা; মাশরুম সংগ্রহের সময়কাল ৬ দিন; প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৭৯.৮ গ্রাম। এটি ২০১২ সালে অবমুক্ত করা হয়।
 ন্যামডেক ওয়েস্টার-২ঃ দেখতে হালকা বেগুনি রঙের; মাশরুম সংগ্রহের সময়কাল ৬০ দিন; প্রতিটি স্পন প্যাকেট হতে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৭৬.০ গ্রাম। এটি ২০১২ সালে অবমুক্ত করা হয়।
 ন্যামডেক ওয়েস্টার-৩: দেখতে পিঙ্ক রঙের; মাশরুম সংগ্রহের সময়কাল ৬০ দিন। প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৯৫.০ গ্রাম। এটি ২০১২। সালে অবমুক্ত করা হয় ।
ন্যামডেক ওয়েস্টার-৪: দেখতে সাদা রঙের; মাশরুম সংগ্রহের সময়কাল ৬০ দিন; প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৯০.০ গ্রাম। এটি ২০১২। সালে অবমুক্ত করা হয়।
 ন্যামডেক ওয়েস্টার-৫: দেখতে ধবধবে সাদা রঙের; মাশরুম সংগ্রহের সময়কাল ৬৫ দিন; প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৮৮.০ গ্রাম এটি ২০১২ সালে অবমুক্ত করা হয়।
 
ন্যানডেক ওয়েস্টার-৬: দেখতে গাঢ় গোলাপি রঙের; মাশরুম সংগ্রহের সমান ৬৫ দিন; প্রতিটি স্পন প্যাকেট থেকে তাজা মাশরুমের গড় ফলন ১৬৬.০ গ্রাম। এটি ২০১২ সালে অবমুক্ত করা হয়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *