ফ্রিজের নরমাল ঠান্ডা না হওয়ার কারণ

ফ্রিজের নরমাল ঠান্ডা না হওয়ার কারণ

ফ্রিজের নরমাল ঠান্ডা না হওয়ার কারণ  পরীক্ষা পদ্ধতি করণীয় । ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফ্রিজের ফ্রিজে  দুই পার্শ্ব দরজা হতে তুলনামূলক গরম কি না দেখুন । ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত  করুন। ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া বাসাবাড়িতে চলমান ফ্যান বা লাইট অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়া বন্ধ হয় । যাওয়া ঘনঘন অন / অফ হচ্ছে কি না দেখুন।

বিদ্যুৎ লাইনে পর্যাপ্ত বাসাবাড়িতে ফ্যান তুলনামূলক কম বাসাবাড়িতে পর্যাপ্ত ভোল্টেজ আছে ভোল্টেজ না থাকা গতিতে ঘুরছে কি না অথবা ফিলামেন্ট তা নিশ্চিত করুন । বাল্ব কম আলোতে বা টিপটিপ করে জ্বলছে কি না পরীক্ষা করুন ।

ফ্রিজের নরমাল ঠান্ডা না হওয়ার কারণ

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক সুইচ ( থার্মোস্ট্যাট ) সঠিক অবস্থানে না থাকা দরজা ফাঁকা থাকা প্রচুর পরিমাণ খাবার ঠাসাঠাসি করে রাখা ফ্যান কুলিং ফ্রিজের জন্য ঠিকমত বাতাস প্রবাহিত না হওয়া ঘনঘন দরজা খোলা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক সুইচ থার্মোস্ট্যাট সর্বোচ্চ অবস্থানে ( ৬/৭ ) রেখে ৩ ঘন্টা পরে ঠান্ডা হচ্ছে কি না পরীক্ষা করুন।

করণায় ফ্রিজের দরজা লাগানোর পরে দরজার চারিদিকে কোনো ফাঁকা আছে কি না দেখুন । তাপমাত্রা খাবার রাখা অবস্থান থেকে থার্মোস্ট্যাটের ৩ ঘন্টা পরে ঠান্ডা হলে আগের আপনার প্রয়োজনমতো অপেক্ষাকৃত বেশি থার্মোস্ট্যাট অবস্থানে রাখুন।

ফাঁকা থাকলে তা বন্ধ করুন । ফ্রিজের দরজা খুলে খাবারের প্যাকেট / বাক্স আবদ্ধ করে এক খাবার অবস্থা দেখুন । থেকে অন্য খাবারের মাঝখানে কিছু ফাঁকা জায়গা রাখুন ।

প্রযোজ্য নয় বাতাস চলাচলের পথগুলো পর্যাপ্ত | এক খাবার থেকে অন্য খাবারের খোলা আছে কি না দেখুন । মাঝখানে কিছু ফাঁকা জায়গা রেখে বাতাস চলাচলের পথগুলো পর্যাপ্ত খোলা আছে নিশ্চিত করুন । যতটা সম্ভব ঘনঘন দরজা খোলা থেকে বিরত থাকুন ।

ফ্রিজটি অতিরিক্ত গরম ফ্রিজ যেখানে রাখা ঐ স্থানের গরম স্থান থেকে ফ্রিজটি সরিয়ে ( ৩৮ ডিগ্রি সেঃ এর তাপমাত্রা পরীক্ষা করুন । বেশি ) স্থানে রাখা তুলনামূলক ঠান্ডা স্থানে রাখুন । ফ্রিজে গরম ( সাধারণ খাবার রাখার সময় সেগুলোর তাপমাত্রা খাবার সাধারণ তাপমাত্রায় আসার এর বেশি ) হাতের স্পর্শ দ্বারা পরীক্ষা করুন।পরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন ।

ফ্রিজের স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য অবশ্যকরণীয়

ফ্রিজটি ঘরের শুষ্ক ও পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করে এমন সমতল স্থানে স্থাপন করুন যাতে ফ্রিজের উপরে ন্যূনতম ৩০ সেন্টিমিটার পাশে ২০ সেন্টিমিটার এবং পিছনে ১০ সেন্টিমিটার ফাঁকা জায়গা থাকে ।

অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছু দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে এমন স্থান থেকে ফ্রিজটি দূরে রাখুন । ফ্রিজ স্থাপনের  পুনঃস্থাপনের কমপক্ষে ১.৫ ( দেড় ) ঘণ্টা পরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।

এরপর অল্প খাবার রেখে সেগুলো ঠাণ্ডা হতে দিন । অতঃপর পর্যায়ক্রমে খাবার সংরক্ষণ করুন ।

ফ্রিজে লবণ জাতীয় কোনো কিছু সংরক্ষণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন । পরম খাবার ফ্রিজে না রেখে সাধারণ তাপমাত্রায় আসার পরে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন । ঠাঁসাঠাসি করে খোলা অবস্থায় খাবার সংরক্ষণ না করে প্যাকেট বাক্স আবদ্ধ করে এক খাবার থেকে অন্য খাবারের মাঝখানে কিছু ফাঁকা জায়গা রাখুন ।

ফ্রিজের স্থায়িত্ব সতর্কতা 

ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে আর্থিং ( Grounding ) সংযোগসহ স্বতন্ত্র সকেট বোর্ড ব্যবহার করুন । অন্যথায় ফ্রিজ থেকে ইলেকট্রিক শক অনুভূত হতে পারে ।

সকেট বোর্ডে ফ্রিজের সাথে একাধিক উচ্চ ইলেকট্রিক লোড ব্যবহার হতে বিরত থাকুন । প্লাগ সংযোগের ১ ঘন্টা পরে প্লাগে স্পর্শ করে তাপ অনুভূত হলে বুঝতে হবে Loose Connection আছে সেক্ষেত্রে অতিদ্রুত সকেট বোর্ড পরিবর্তন করতে হবে ।

ফ্রিজের নরমালে পানি জমার কারণ

ফ্রিজটিকে আগুনের উৎস হতে অবশ্যই ন্যূনতম ৫ মিটার দূরে রাখুন। স্থান পরিবর্তনের সময় যতটা সম্ভব খাড়া অবস্থায় রেখে ফ্রিজটি নাড়াচাড়া করুন। ফ্রিজে দাহ্য পদার্থ।

যেমন : ইথার  বেনজিন  এলপি গ্যাস  গ্লু ইত্যাদি সংরক্ষণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন ।

বরফ জমা খাবার বের করতে ধারালো কাঁচি  চামচ ছুরি ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজে পানি ছিটানো ভেজা বস্তু দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন ।

ফ্রিজের নরমাল তাপমাত্রা কত

প্রশ্ন= ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত ?

উত্তর= ফ্রিজের পাওয়ার কত রাখা উচিত অনেকেই জানে না। ফ্রিজের যদি আপনার নতুন হয় তাহলে আপনাকে প্রথম দিন 6 থেকে ৭ এর ভিতর রাখতে হবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।

তারপরে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে ৩ থেকে ৪ এর ভিতর পাওয়ার রাখতে হবে অথবা আপনার ফ্রিজে মাল কতটুকু আছে সেই পরিমান কতটুকু ঠান্ডা লাগবে সে অনুযায়ী আপনাকে পাওয়ার রাখতে হবে। বেশি পাওয়ার রেখে কারেন্ট বিল অনেক করে কোন লাভ নেই।

ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণ 

ফ্রিজ পরিষ্কারের জন্য ওয়াশিং ডিটারজেন্ট ( পাউডার / লিকুইড ) নরমাল পানিতে সম্পূর্ণরূপে মিশিয়ে সুতি কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে শুধুমাত্র নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।

অতঃপর শুকনা কাপড় দিয়ে ভালোভাবে যুছে নিন । পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ যেমন- থিনার পেট্রোল ইত্যাদি ব্যবহার থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *