নেতা কে নিয়ে পোস্ট

নেতা কে নিয়ে পোস্ট

নেতা কে নিয়ে পোস্ট আমি বহু বছর ধরে নেতৃত্ব নিয়ে অধ্যয়ন করছি । কিশোর বয়সে এ নিয়ে পড়াশোনাও শুরু করেছিলাম এবং প্রথম যে নেতা নিয়ে আমি দীর্ঘ পড়াশোনা করছিলাম তিনি হলেন – হানিবল কার্থেজ । আমি পুণিক যুদ্ধগুলোতে হ্যানিবলের হাতির আল্পস পেরিয়ে যায়ার ক্ষমতা এবং রোমানদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা অনেকগুওলা বইয়ে পাড়ছি । তিনি খুব ছোটো শক্তিকে নেতৃত্বদানের জন্য গ্রহণ করেন । নেতা কে নিয়ে এটিকে এক শক্তিশালী লড়াকু বাহিনীতে রূপান্তর করেন হাজার মাইল দূরে গিয়ে সেই সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যকে পরাস্ত করতে পেরেছিলেন ।

তারপর আমি স্কিপিও দিয়ে পড়াশোনা করেছি- তিনি হলেন হানিবলকে পরাজিত করা জেনারেল। এ দুজনের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে আমি নেপোলিয়ন এবং ওয়েলিংটনের জীবনও অবিচ্ছিন্নভাবে অধ্যয়ন করেছি ।

আমি ওয়াশিংটন লিংকন জেনারেল জর্জ প্যাটন ডুইট আইজেনহোভার এবং ওমর ব্র্যাডলি যারা বিভিন্ন সময়ের কিছু মহান নেতা ছিলেন তাদের নিয়ে পড়াশোনা করেছি । যা আমি পেয়েছি তা হলো- নেতা তৈরি হয় জন্ম হয় না । পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে কোনো নেতাই আসে না । এমনকি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট পড়াশোনা করেছিলেন ( আট বছর বয়স থেকে ) নেতা হওয়ার জন্য সাজেশন।

নেতা কে নিয়ে পোস্ট গ্রেটস অধ্যয়ন

অতীত ও বর্তমানের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অধ্যয়ন নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের অন্যতম দ্রুত এবং নিশ্চিত উপায় । কার্যকর নেতৃত্বের গঠন নিয়ে যত বেশি অধ্যয়ন করবেন নেতৃত্বের মান এবং আচরণ আত্মস্থ করার সম্ভাবনা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে । এ মান এবং আচরণ তখন আপনার কাজে এবং ফলাফলে দৃশ্যমান হবে । আব্রাহাম লিংকন লিখেছেন কেউ সফল হলে অন্যরাও পারবে । বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল একমত হয়ে লিখেছেন : কিছু যে করা যাবে তার সর্বোত্তম প্রমাণ হলো অন্যরা ইতোমধ্যে এটি করেছে ।

আপনি যাদেরকে চিনেন বা জানেন তাদের কী জন্য প্রশংসা করে থাকেন সে সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করুন এবং তারপর আপনি কীভাবে তাদের আচরণগুলো অনুকরণ করতে পারেন সে সম্পর্কে অধিক চিন্তাভাবনা করুন । আপনি কীভাবে তাদের মতো হতে পারেন তা চিন্তা করে দেখুন । এবং দেখুন , একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে আপনি আসলে তাদের গুণগুলো অনুকরণ করতে শুরু করেছেন এবং নিজেই নেতা হতে শুরু করেছেন ।

নেতা কে নিয়ে পোস্ট আলেকজান্ডারের গল্প

উচ্চ নেতৃত্বের পদের জন্য উচ্চারণকাঙ্ক্ষী যে কারো জন্য আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের কাহিনি খুব শিক্ষণীয় । পনেরো বছর বয়সে আলেকজান্ডার নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পরিচিত বিশ্বকে জয় করা তাঁর নিয়তি । সকল মানবজাতিকে এক সাধারণ ভ্রাতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য তাঁর দৃষ্টি ছিল । অ্যারিস্টটলকে তাঁর শিক্ষক হিসেবে পেয়ে তিনি অনেক বছর ধরে তার কাছে পড়াশোনা করেছিলেন এবং নিজেকে তৈরি করেছিলেন ।

তিনি তার বাবা এবং তাঁর বাবার সময়ের সেরা জেনারেলদের নিকট থেকে সামরিক আর্ট শিখেছিলেন । তিনি নিজেকে এমন মহান রাজা হিসেবে দেখেছিলেন এবং নিজের স্থির করা যে কোনো লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন । নিজে যে অর্জন করতে পারবেন তার প্রতি তার অদম্য বিশ্বাস ছিল । আরেকজান্ডার প্রশাসন এবং যুদ্ধ উভয় ক্ষেত্রেই উজ্জ্বল ছিলেন । তিনি দায়িত্ব অর্পণে চমৎকার যোগ্যতা দেখিয়েছিলেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদে সঠিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়েছিলেন ।

তিনি পরিকল্পনা করতে সংগঠিত করতে , চিন্তা করতে এবং লোকদের মাধ্যমে ফলপ্রসূ সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছিলেন । আরবেলার যুদ্ধে , তিনি তাঁর ৫০,০০০ লোককে এক মিলিয়ন শক্তিশালী পার্সিয়ান সেনাবাহিনীর উপর সম্পূর্ণ সম্মুখ আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তাদের তাড়িয়ে দিয়েছিলেন । পরাজয়ের দুর্ভাবনা তাকে কখনো পেয়ে বসেনি । তার নিজের উপর তার লোকদের উপর এবং যে – কোনো অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে তাদের দক্ষতার উপর তার সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিল অবস্থা যতই প্রতিকূলে থাকুক না কেন ।

আলেকজান্ডার , সকল মহান নেতাদের মতো তাঁর লোকদের সংগঠিত করার এবং আগের যে কোনো রেকর্ডের চেয়ে বেশি করার জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করার ক্ষমতা রাখতেন । তার নিজের শক্তি ও দুর্বলতাগুলোতে মনোনিবেশ ক্ষমতা তিনি রাখতেন । তাঁর জীবন এবং ইতিহাস সকল মহান নেতৃত্বের গুণাবলি মিশ্রণের উদাহরণ যা বিজয় নিয়ে প্রতিটি গবেষণায় পরখ করা হয়েছে।

নিজের নেতা হিসেবে দেখুন

ভূমিকাতে আমি ধারণাটি প্রকাশ করেছিলাম যে এমন একটি স্পেকটার্ম আছে যেখানে খুব নিচে আমরা এমন লোকদের খুঁজে পাই যারা কী চলছে তার সামান্যতম ধারণা রাখে না ( এবং এর প্রতি খেয়াল রাখতে পারে না ) আবার একেবারে শীর্ষে রয়েছে আমাদের সমাজের এক বা দুশতাংশ লোক যারা সত্যই পরিবর্তনের ইঞ্জিনে সম্পর্ক প্লাগ । আমরা প্রত্যেকে সেই স্পেকট্রামের কোথাও না কোথাও রয়েছি ।

আমরা প্রত্যেকে যে কাজগুলো করছি এবং প্রতিদিনের ভিত্তিতে যা বলছ তার উপর নির্ভর করে স্পেকটার্মে আমাদের ওঠানামা চলছে । আপনি যদি নেতা বা আরো উন্নত গোছের নেতা হতে চান তাহলে মনে রাখবেন এর সব ক্ষমতা আপনার হাতে রয়েছে । আরো গুরুত্বপূর্ণ হলো এটি আপনার মনে বিরাজ করছে ।

আপনি যা ভাবছেন আপনি ঠিক তাই। আপনার নিজের চিত্র আপনার কর্মক্ষমতা নির্ধারণ করে । নেতা হিসেবে নিজের সম্পর্কে যেভাবে ভাবেন নিজের ধারণাটি পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি আরো কার্যকর নেতা হয়ে উঠতে পারেন । এর সবই কারণ এবং প্রভাবের আইন দিয়ে শুরু হয় । এটি মহাবিশ্বের মূল আইন গণিত বা বিজ্ঞানের যে কোনো ক্ষেত্রে অন্যান্য আইন এ আইনের উপধারা , যা বলে যে প্রতিটি প্রভাবের জন্য কারণ রয়েছে ।

নেতা কে নিয়ে পোস্ট

কেন না কারণ ছাড়া কিছুই হয় না । এ আইনের প্রভাবটি শক্তিশালী । এর অর্থ প্রতিটি ব্যক্তির সাফল্যের কোনো না কোনো কারণ রয়েছে । সুতরাং আপনি যদি অন্য কারো মতো সফল হতে চান আপনি যদি সফল ব্যক্তিদের অনুকরণ করতে চান এবং কীভাবে তারা কাজ করেছিলেন এবং কী সম্পাদন করেছেন তারা কী করছেন এসব কিছু আবিষ্কার করুন ! সফল ব্যক্তিদের মতো বারবার একই কাজ করতে থাকুন এবং অবশেষে আপনিও একই ফলাফল পাবেন । একটি সম্পর্কিত আইন হলো বিশ্বাসের আইন ।

এতে বলা হয়েছে যে আপনি যদি দৃঢ়তার সঙ্গে যা বিশ্বাস করেন তা আপনার বাস্তবতায় পরিণত হবে । অন্যভাবে বলতে গেলে আপনার নিজেকেই একজন নেতা হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে । দার্শনিক উইলিয়াম জেমস বলেছিলেন বিশ্বাসই আসল ঘটনা তৈরি করে । এ বইয়ের উদ্দেশ্য হলো আপনাকে নেতা তৈরিতে সক্ষম করা ।

এবং আপনি যদি ইতোমধ্যে নেতা হন তবে আপনাকে আরো কার্যকর নেতা হতে সক্ষম করা । আমাদের সমাজের সবচেয়ে কার্যকর নেতাদের কয়েকটি গুণাবলি এবং আচরণের বর্ণনা দিয়ে আমি এটি করব যাতে আপনি সেই গুণাবলি অনুকরণ করতে পারেন এবং আপনার বাস্তবতায় সেসব ঘটনা ঘটাতে পারেন ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *