জীবনের নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নির্ধারণ

জীবনের নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করুন জীবনে সফলতা অর্জন করতে চান ? সুন্দর একটা বাড়ি এবং কিছু ব্যাংক ব্যালেন্স পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আপনার আছে । সম্ভবত নিজের একটা গাড়িও থাকা চাই এবং যখন কাজ করার মতো সামর্থ্য থাকবে না তখনও নিশ্চয়ই জীবনকে উপভোগ করতে আপনি চাইছেন । এর সবকিছুই আপনার হবে , এমনকি তার চেয়েও অধিক হতে পারে , যদি আপনি  জীবনের নির্দিষ্ট বা সাকসেস – এর মধ্যে যেসব নিয়ম – কানুন বলছি সেগুলো এবং এর মাধ্যমে উদ্বৃত নতুন কোনো তথ্য আপনার সামনে উপস্থাপিত হয় তা অনুসরণ করেন।

সফলতার চাবি কাঠিগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে । এগুলো টিকে আছে এবং এর পথনির্দেশক চিহ্নগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে । এ উপায়গুলো আপনাকে পথ দেখিয়ে দেবে , আপনাকে ঠিক কী করতে হবে । এখানে পনেরোটি পথ নির্দেশক চিহ্নিত হয়েছে আর আপনি যদি এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন এবং সেখানে যা করতে বলা হয়েছে তার প্রতিটি কাজ যদি সঠিকভাবে পালন করেন , তবে সফলতা পেতে কোনো বাধাই আপনাকে দমাতে পারবে না ।

এ পনেরোটি চাবিকাঠিগুলো এমন একজনের মনের ভাবনা থেকে বের হয়েছে যিনি এখন অত্যন্ত সফল ব্যক্তি । এখন তিনি বাড়ির মালিক । নিজের গাড়িও আছে এবং অধিক পরিমাণের ব্যাংক ব্যালেন্স আছে ।

সস্ত্রীক ক’জন ছেলেপুলেও আছে । তিনি সুখী ও সফল একজন মানুষ । তাকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না এবং কোনো সুযোগ সুবিধাও পাননি— যেমনটা আছে আপনার , আর অল্প কিছু কাল আগেই তিনি একজন পরিশ্রমী খনিশ্রমিক হিসেবে জীবন শুরু করেন । আজ আপনি যেমন সফল , এ ব্যক্তিও তেমনি সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন , শুধুমাত্র এ পনেরোটি চাবিকাঠির অনুসরণ করে যেগুলো বলা হয়েছে ।

জীবনের নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করা !

আরো এক সূর্য ডুবে যাওয়ার পূর্বেই আপনি জীবনে কী হতে চান তার নির্দিষ্ট লক্ষ্য আপনাকে অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে । নির্ধারণ করার পরে , স্পষ্টভাবে তা লিখে ফেলুন rt     যা হবে সহজ কিছু শব্দ দ্বারা । সেটা এমনভাবে লিখতে হবে যাতে করে যে কেউ পরবর্তী সময়ে তা একবার পড়েই বুঝতে পারে । কীভাবে আপনার লক্ষ্যটা লিখতে হবে তার একটা নমুনা এখানে উপস্থাপন করলাম।

আপনার লক্ষ্য হলো নিজের একটা বাড়িগাড়ি  অধিক পরিমাণের ব্যাংক ব্যালেন্স আর পরিমাণ মতো আয় যাতে আপনার বাকি জীবনটা আনন্দে উপভোগ করতে পারেন ; আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে তা লিখে রাখার জন্য শব্দগুলোর আশ্রয় নিতে পারেন।

আমার জীবনের লক্ষ্য হলো একটা বাড়ি হবে , একটা গাড়ি এবং ভালো মানের ব্যাংক – ব্যালেন্স থাকবে  এবং পরিমাণ মতো আয়ের ব্যবস্থা থাকবে যেখানে অবসর জীবনে আনন্দ আর সাবলীলভাবে জীবনযাপন করতে পারি ।

এ লক্ষ্য পূরণে আমি নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত  এবং নিজেকে এমনভাবে পরিচালিত করবো যেখানে আমার কাছ থেকে সেবাগ্রহণকারী আমার কাজের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে ।

এর নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে . আমার কর্মীবৃন্দ সবসময় আমার কাজের জন্য সন্তুষ্ট থাকবে যার বিনিময়ে আমি সেবা দিতে রাজি হয়েছি তা গ্রহণ করার বদৌলতে সর্বোচ্চ সেবা দিতে সবসময়ই সচেষ্ট থাকব।

কেননা আমার সচেতন জ্ঞান বলছে যে  এ স্বভাবগুলো আমাকে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কর্মী হিসেবে গড়ে দেব পাশাপাশি আমাকে এমন বেতন অর্জনের উচ্চতায় নিয়ে যাবে যার জন্য এমন সেবা আমি দিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয় করেছি ।

আমার নাম সেই অভীষ্ট লক্ষ্যের ঘরে লিখাব এবং বারোতম রাত পর্যন্ত প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে একবার করে তা পড়ব ।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে , কেউ একজন যদি তার অভীষ্ট লক্ষ্য অতীতের সফল ব্যক্তিরা যেমন করেছিলো অর্থাৎ বারোতম রাত পর্যন্ত ঘুমাতে যাবার আগে গভীর মনোযোগ সহকারে তা আত্মস্থ করে তাহলে নিশ্চিত সে দেখতে পারবে তার অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে ।

মনে রাখতে হবে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান তা নির্ধারণ করাই হলো সাফল্যের চাবিকাঠির প্রথম পদক্ষেপ এবং এও মনে রাখতে হবে।

যিনি এ পদক্ষেপপগুলোর নামকরণ করেছেন তিনি প্রাথমিক জীবনে একজন পরিশ্রমী কয়লা শ্রমিক ছিলেন  বিশেষত কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও তার ছিল না  তবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তিনি সাফল্যের চূড়ায় উঠতে পেরেছিলেন । আপনিও তেমনটা হতে পারবেন যদি তার দেখানো এ পথে ঠিকঠাক অনুসরণ করতে পারেন ।

নির্ধারিত লক্ষ্য লিখে রাখার প্রথম দিন থেকেই বুঝতে পারবেন , আপনার লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছেন । বুঝতে পারবেন কর্মীরা আপনার প্রতি আগের তুলনায় অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে । বুঝতে পারবেন  কর্মীরা আপনার কাজের প্রতি অনেক বেশি লক্ষ্য রাখছে এবং এমনভাবে একটা হাসি দিয়ে আপনাকে উৎসাহিত করবে যেমনটা আগে কখনো দেখেননি ।

কঠিন দুর্যোগে অদৃশ্য শক্তি যেন আপনাকে পেছন থেকে সাহায্য করবে আর আপনি সাফল্যের দিকে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন যেহেতু বন্ধুভাবাপন্ন একদল।

কর্মী আপনার পদচিহ্ন দেখে এগিয়ে আসছে আর আপনাকে পেছনে থেকে সাহায্য করছে । আরো লক্ষ্য করবেন , আপনি নিজেও কর্মীদের প্রতি আগের তুলনায় অধিক পরিমাণে বন্ধুভাবাপন্ন হয়ে উঠেছেন । আর সেই বন্ধুদের প্রতি আপনি আস্থাশীল হবেন এবং তারাও আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করবে এবং শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবেন আপনার কোনো শত্রু নেই ।

সকলেই আপনার বন্ধু হতে শুরু করবে আর তা আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে বৈকি ! এ প্রতিজ্ঞাটি এমন একজন মানুষ করেছেন যিনি এটা অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেন এবং দেখতে পান যে কৌশলটা অতি কার্যকর । তবে এ প্রশ্নটা করবেন না যে , এটা আপনার উপর প্রয়োগ করলে কাজে দেবে কিনা ।

এ প্রতিজ্ঞাটির ভেতরে যেসব নির্দেশনা দেওয়া আছে সেগুলো একবার অনুসরণ করে দেখুন শিরোনামগুলো আজ থেকে আগামী একবছর অনুসরণ করুন ।

দেখবেন আগামী একবছর পর আর তা অনুসরণ করতে হচ্ছে না কারণ সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নিজের হয়ে যাবে । আর তখন লোকেরা আপনার ব্যক্তিত্ব দেখে হতবাক হয়ে যাবে এবং আপনি নিজেকে সকলের প্রিয়পাত্র হিসেবে খুঁজে পাবেন । আরো দেখতে পাবেন যারা আপনাকে আগে থেকে জানে তারা সকলেই তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে আপনার পেছনে ঘুরঘুর করবে কেননা তখন তারা আপনাকে পছন্দ করে ।

সবচেয়ে বেশি যা করতে পছন্দ করেন সেটাই হবে আপনার আগামী

এটাই হলো মানুষের মনের লুক্কায়িত ব্যাপার  যা মানুষের অবচেতন মনকে পছন্দনীয় এক দিকে ধাবিত করে । মানুষ তাই যা সে মনে মনে হ্যামলেটের মতো চিন্তা করুন  হৃদয়ের অন্তঃস্থলে ।

একদা একজন হিব্রু লেখক ছিলেন , যিনি ভাস্কর্যে মানুষের অনুভূতিকে বোঝানোর জন্য ‘ হৃদয়  শব্দটা ব্যবহার করেছেন তবে তিনি হয়তো আধুনিক মানুষের মনোভাব সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন যেমনটি জন হারমান ব্র্যাডাল তার কালচার অব পার্সোনালিটি’তে এ ঘটনাকে এভাবে দেখিয়েছেন তারা মানুষের মনোবিদ্যাগত সত্যটাকে বের করে এনেছে যা প্রথমত মানুষের অনুভূতি নেয় ।

ব্যক্তিত্ব ব্যক্তির সচেতন মনের আকর্ষণের কারণের একত্রিকরণ থেকে উদ্ভূত হয় এবং নিজস্ব ধ্যান – ধারণাকে সম্পূর্ণ নতুন এক উপায়ে খুঁজে নেয় যার উৎপপত্তিস্থল হৃদয় বা অনুভূতি এবং সেখান থেকে সচেতন মস্তিষ্কে পৌছায় এবং তারপর কোনো এক কাজের মাধ্যমে তা বাস্তবে রূপ লাভ করে।

চূড়ান্ত বিশ্লেষণে বলা যায় আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় সর্বোচ্চ গুরুত্বের ইচ্ছা শক্তির দ্বারা । আর সেখানে ব্যক্তিত্ব হলো ইচ্ছাশক্তির উন্নত পর্যায় । সাকসেস  যেহেতু একজন মানুষের কর্তৃত্বাপরায়ণতার ছায়াতলে আছেন , তবে তার দাসত্ব মেনে নিন । অথবা তার ব্যক্তিত্বকে দূরে সরিয়ে রাখুন  এবং তাকে আপনার দাস বানিয়ে ফেলুন ।

এক্ষেত্রে সকল মানুষই ইচ্ছাশক্তির মালিক । উড়নচণ্ডীদের ইচ্ছা ছিল এমন  আমার ভাগ আমাকে বুঝিয়ে দেন ।রবার্ট পিয়ারে এ কথাটাই চব্বিশ বছর ধরে বলে এসেছেন শয়নে – স্বপনে উত্তর মেরু খুঁজে পাওয়াই ছিল তার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।

এডিসন এবং বৈদ্যুতিক বাতি স্টিভেনসন এবং রেলইঞ্জিন । ফুলটন এবং বাষ্পচালিত ইঞ্জিন , নেপোলিয়ান এবং ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন জোয়ান দ্যা আর্ক এবং ফ্রান্সের মুক্তি পল এবং খ্রিস্টধর্মের প্রচার এসব কিছু প্রতিভার উদাহরণ সকলে তাদের ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন ।

এমন কিছুর প্রার্থনা করুন যেটা মিথ্যা বা সত্য যাহোক না কেন , প্রার্থনা কিন্তু বুমেরাং হয়ে ফিরে । এসব উদাহরণগুলো আমাদের প্রবল ইচ্ছাশক্তিগুলোকে নিখাঁদ আর নিঃস্বার্থ রাখতে সতর্কবার্তা দেয় এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে একাত্ম হওয়ার জন্য সতর্ক করে দেয় । একজন মানুষের অভীষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে জানুন তবে ভবিষ্যতে সে কী হবে তা সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা আপনি পাবেন ।

তার ঘরের দেওয়ালে কোনো মানুষের ছবি টাঙানো আছে সেটা দেখান – তার লাইব্রেরিতে কি কি বই আছে , তিনি কোন কোন মুভি দেখেন , গল্পগুজবের জন্য কী ধরনের বন্ধুকে সে আমন্ত্রণ জানায়  এবং তাহলেই আমি বলে দিতে পারবো তিনি শয়নে – স্বপনে কিসের প্রার্থনা করেন তার দেওয়ালগুলোর জন্য বলে দেওয়া যায় তার কল্পনার কথা তার মনের মধ্যে কি গেঁথে রেখেছেন তার স্বপ্নের কথা তার অবচেতন মনে কিসের পরিকল্পনা করে সেসব বলে দেওয়া যায় ।

আপনার পৃথিবী নিজের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা নির্ধারিত করার একটাই উপায় তাহলো রালফ ওয়াল্ডো ট্রিনের মতো চিন্তা করা যিনি বলেছেন অসীমের সাথে তাল মিলিয়ে নিন  মহান কেপলার – এর মতো চিন্তা করুন  যে চিন্তা ঈশ্বরকে খুঁজে দেয় ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে একতা রেখে মাস্টার যেমনটা করেছিলেন- তারাই সার্থক হবে ।এমনটা করার একমাত্র উপায় আছে । ঈশ্বরের চিন্তা মাথায় রেখেই আপনাকে এগুতে হবে ।

মাস্টার যখন এ সূত্রটা আবিষ্কার করেছিলেন তখন তিনি এ উপায় অবলম্বন করেছিলেন আপনার গোপন আস্তানায় প্রবেশ করে দরজাটা বন্ধ করে দিনএবং সেখানে নীরবতা পালন করুন আর প্রার্থনা করতে থাকুন ।

এসবই মনোবিজ্ঞানের মতে অত্যন্ত কার্যকরী পন্থা মনোবিজ্ঞানী আর রহস্যবিদ উভয়েই এ একই পন্থা অনুসরণ করে থাকেন মানুষের মনস্তত্ত্ব আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের সাথে মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে । আমরা মনে মনে যা কল্পনা করি শুধু তাই নয় , আমরা তাই যা আমরা মনে প্রাণে প্রার্থনা করি ।

প্রার্থনা আমাদেরকে ঐশ্বরিক আত্মার সাথে যুক্ত করে সকল জীবের রহস্যময় সেই শক্তির উৎসের সাথে অনন্ত অসীম আত্মার সাথে আমাদের স্বর্গীয় পিতার সাথে । আমরা নিজেদেরকে প্রতিনিয়ত পবিত্র আত্মা’র সাড়া দিয়ে একাত্মতার ঘোষণা করতে হবে ।

প্রার্থনার সময় মনে রাখতে হবে যাতে আমাদের আবেদনের চেয়ে ঈশ্বরের প্রশংসা আর আমাদের অনুতাপ অধিক হয় । প্রার্থনা তো মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ । আপনার সন্তান আপনা থেকে এ বলবে না “ এখন আমি নিজেকে ঘুমের কাছে সমর্পণ করলাম।

আর ঈশ্বরের ভীতি থাকার জন্য তিনি সব ভুলে গেলেন অথবা রাত হওয়ার কারণে তিনি দেখছেন না বরং আপনার ছোট্ট ছেলে বা মেয়েটাকে এভাবে শেখানএখন আমি নিজেকে সমর্পণ করলাম ঘুমের কাছে যাতে করে সে প্রার্থনা করার উপায়গুলো সব জেনে যায় এবং যখন বড় হবে তখন নিজ থেকেই তার স্বপ্নটাকে সত্যি করার জন্য ঈশ্বরের সাথে সব সময় যুক্ত থাকবে । হ্যাঁ , এটা সত্যিই কাজ করে ।

রেভ জেমস্ হিগিনস আমাকে বলেছিল একুশ বছর বয়স পর্যন্ত সে কখনো বাইবেল ছুঁয়েও দেখেনি , হঠাৎই কোনো এক চার্চে গিয়েছিল অথবা প্রার্থনা শুনেছিল এখন আমি নিজেকে সমর্পণ করলাম  এবং আমাদের পিতা যিনি স্বর্গে আছেন তার কাছে ” যেটা সে খুব ছোটবেলায় প্রতি রাতে আর সকালে মায়ের হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা করা থেকে শিখেছে ।

এ স্প্রিংফিল্ড কলেজের এক ছাত্র আমাকে বলেছিল মূলত মায়ের উচ্চারিত ধর্মীয় বাণীগুলো যে বৈজ্ঞানিক তা মনোবিজ্ঞানের উপর মিসেস ম্যাককলামের লেকচারগুলো থেকে বুঝতে পারি , আর সেগুলো আমাকে রোমাঞ্চিত করে তুলেছে । ” তিনিই তো জ্ঞানী মাতা যিনি তার সন্তানকে প্রার্থনা করতে শিখিয়েছেন ।

প্রার্থনা – যেমন – তেমন প্রার্থনা নয় সত্যিকারের মনে – প্রাণের প্রার্থনাই হলো ঈশ্বরের ইচ্ছার সাথে নিজের ইচ্ছার মিল পাওয়া  আর আমরা তাই যা আমরা প্রার্থনা করি । প্রার্থনা হলো আত্মার অকপট ইচ্ছা প্রকাশিত অথবা অপ্রকাশিত গোপন শিখার প্রণোদনা যেটা বক্ষদেশে আজন্ম কম্পিত ।

জীবনকে এগিয়ে নিতে প্রার্থনা করুন , হঠাৎ অলৌকিক কিছু পাওয়ার জন্য প্রার্থনা না করে সৃজনশীল কিছু করতে পারার ক্ষমতার জন্য প্রার্থনা করুন যাতে করে মানবজাতির অগ্রগতির জন্য বিস্ময়কর কিছু করতে পারেন ।

প্রতিদিন ভোরে নিজের স্বাস্থ্য হাসি – খুশি থাকতে পারা আর যে কাজ করতে যাচ্ছেন তার সফলতার জন্য ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করুন । শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে যান । যার জন্য তৈরি হয়েছেন তা পূর্ণ করার আশা রাখুন । কোনোমতেই কম করাটা মেনে নেবেন না । ঐশ্বরিক আত্মবিশ্বাসী মহান কিছুই করে ।

মানবিক সেরা যাতে করতে পারেন তেমন যোগ্য কিছু করার জন্য দৃঢ় মনোযোগ আর প্রার্থনাই সবচেয়ে অধিক সাহায্য করবে । ক্লিনটন স্কলার্ড কবিতার পক্তি তার ভাস্কর্যে এঁটেছিলেন ।

প্রতিদিন সামান্য কিছু সময় আলাদা করে রাখি পবিত্র কিছু করার জন্য খুব ভোরেও হতে পারে চাঁদ যখন জানালার কপাটের মাঝে দিয়ে পালিশ করা সমাধিকক্ষে ঝিলিক দেয় অথবা যখন নাইটিংগেল হাওয়ার কানে ঢেলে দেয়।

সকল ব্যবসায়ী এবং আমেরিকার পেশাদারি মানুষ

ব্যবসার প্রদান মূল্যবান যে উপায়টা অবলম্বন করা উচিত

সকল মানবজাতির একটাই অভীষ্ট লক্ষ্য হলো আকাঙ্ক্ষা । মানুষের চেতনাবোধ এতটাই ক্ষমতাবান যে আপনি যাই আকাঙ্ক্ষা করবেন এটা আপনার জন্য তাই তৈরি করবে  যে আসন আপনি ইচ্ছা করবেন , যে বন্ধুত্ব আপনার প্রয়োজন কোনোকিছু অর্জনের জন্য যে যোগ্যতা আপনার প্রয়োজনে তার সবকিছুই করবে ।

এখানে যে চেতনা নিয়ে আমরা কথা বলছি সেক্ষেত্রে  ইচ্ছা ‘ আর  আকাঙ্ক্ষা’র মধ্যে একটা পার্থক্য তো আছেই । একটা ইচ্ছা হলো শুধুমাত্র বীজ বা আঙ্গুরের মতো যেটা আমরা চাই  অন্যদিকে যে জিনিসটা কামনা – বাসনা হয়ে দাঁড়ায় এর সাথে থাকে প্রয়োজনীয় উপযুক্ত পরিবেশ  সূর্যকিরণ এবং বীজ থেকে চারগাছ এবং এর বেড়ে ওঠার জন্য যে প্রবল বাসনা আমরা করি তাই হলো প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।

প্রবল আকাঙ্ক্ষা হলো সেই রহস্যময় শক্তি , যা ঘুমের মধ্যেও জেগে ওঠে এবং মানব মস্তিষ্ককে সেই কাজটা করার জন্য ব্যাকুল করে তোলে । আকাঙ্ক্ষা হলো সেই ফুলকি যেটা মানুষের চেষ্টাকে অকস্মাৎ ত্বরান্বিত করে দেয় এবং কর্মশক্তিকে কাজে পরিণত করতে জোর করে ঠেলে দেয় ।

একটা দীর্ঘ সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে জীবন গঠিত হয় ঠিক সামনের সুযোগটা মেনে দেওয়া অথবা সুযোগটা ছেড়ে নতুন কিছুর অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিতে হয় । সুযোগ গ্রহণ করা বা তা ধরতে ব্যর্থ হওয়া উভয়ই সমানভাবে আমাদের জীবনে ভালো বা মন্দ ডেকে আনতে পারে ।

দীর্ঘ সময় ধরে সিদ্ধান্ত যেটাকে আমরা জীবনের শেষ পর্যন্ত আঁকড়ে ধরে থাকি তার উপর ভিত্তি করে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গড়ে ওঠে । অনেক ধরনের প্রভাব কাজ করে যেগুলো আকাঙ্ক্ষা তৈরি করতে এবং সেই অনুযায়ী কাজে নেমে পড়তে প্রভাব ফেলে । অনেক সময় প্রিয় কোনো বন্ধুর বা প্রতিবেশীর মৃত্যুই সে কাজটা করে দেয় যেখানে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকটা ।

হতাশা , দুঃখ , এবং প্রতিটি প্রাকৃতিক সমস্যা মানব মস্তিষ্কে সেই উদ্রেক করে থাকে । কারণ এটা নতুন করে ভাবতে শেখায় । যখন আপনি বুঝতে পারবেন ব্যর্থতা হলো শুধুমাত্র সামান্য কিছু সময়ের জন্য তখন সেটা আপনাকে মহান কিছু করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে এতটাই স্বাভাবিক ভাবে তা আপনার সামনে প্রতীয়মান হবে ।

যেমন দিনের আলোয় পরিষ্কার আকাশ দেখা যায় , আর তাই ব্যর্থতা অদৃশ্যভাবে আপনার জন্য কোনো না কোনো আশীর্বাদ বয়ে আনে । আর যখন জীবনের জঞ্জাল এবং ব্যর্থতার দিকে ফিরে তাকাবেন , তখন সে ব্যর্থতার অন্ধকারেই আপনার মধ্যে এক বিশাল শক্তির উদ্‌গিরণ হবে পৃথিবীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য । তারপরই আপনি প্রকৃতপক্ষে ব্যর্থতায় নিজেকে গা ভাসিয়ে না দিয়ে সেটাকেই সম্বল করে বিশাল কিছু করার সুযোগ পাবেন ।

আপনার জীবনে সুখের দিন সামনেই আছে ! সেটা আপনার হবে যখন আপনিতা আবিষ্কার করতে পারবেন যার দ্বারা আপনি অন্যকারো উপর নির্ভরশীল নয় বরং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন ! নতুন সেই দিন আপনার হবে যখন আপনি সেটা পেতে মনের মধ্যে প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা অনুভব করবেন । এখনই শুরু করুন , আজই , জীবন নামের স্টেশনটা কোথায় দাঁড় করাতে চান তার আকাঙ্ক্ষা খুঁজে পেতে যেটা আপনাকে পেতেই হবে ।

কামনা – বাসনাকে দৃশ্যমান করুন এবং তা পূর্ণ করুন যা আপনার কাজে কর্মের ও ভাবনার অধিকাংশ সময় দখল করে । নেবে । তার সাথে জাগরণ ও স্বপ্ন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিন । জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সেটাকে আপনার কেন্দ্রবিন্দু করে নিন । কাগজে লিখে ফেলুন এবং এমন কোনো জায়গায় লাগিয়ে দিন যাতে প্রতি মুহূর্তে আপনি তা দেখতে পান ।

প্রতিটি কাজেই তার উপর মনোযোগ দিন এবং নিজেকে বুঝ দিন ! দেখবেন যখনই তার সামনে আসবেন যেন তা আপনাকে জাদুর মতো টানছে ।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *