আবিস্কৃত অভিজ্ঞতা

আবিস্কৃত অভিজ্ঞতা
5/5 - (1 vote)

আবিস্কৃত অভিজ্ঞতা সম্পাদকীয় করতে গিয়ে মিস্টার হিল পূর্ব সতর্কতা করেছিলেন, তার নাকি বিশ্বাস তার জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাটা এ পাঠ থেকে পেয়েছেন।

প্রায়ই আমাকে নিজের মধ্যে একটা কথার মুখোমুখি হতে হয়, “বাস্তবতা ছেড়ে গিয়ে যদি আমি বসবাস করতে পারতাম তবে অবশ্যই তা করতাম!”

ব্যক্তিগতভাবে একেবারে সত্যি যে বলছি তাও কিন্তু নয়, জীবনের ইতঃপূর্বে ঘটে গেছে যা তার সব কিছুর পরিবর্তন আমি করতে পারবো। যদি তা করার সুযোগ পাই তবে পেতে পারি শুধুমাত্র কল্পনার রাজ্যে। এমন তো নয় যে জীবনে কোনো ভুল আমি করিনি, প্রকৃতপক্ষে আমার মনে হয় গড়পড়তা মানুষের চেয়ে আমি আরো অধিক ভুল করেছি, তবে এ ভুলগুলোর বাইরে একটা ব্যাপার বেরিয়ে এসেছে যেটা আমাকে সত্যিকারের সুখী বানিয়েছে এবং হাতের কাছে পাওয়া সুযোগ অন্যের জন্য ছেড়ে দিয়ে আরো অধিক আনন্দিত করেছে।

মনে হয় ক্ষতি নিহিত থাকে সেই ব্যাপারটাকে ভালোবেসে যা অর্জিত হয়নি, সেই ক্ষমতা যা এখনো অর্জিত হয়নি, সেই স্বার্থবাদী প্রতিভা যা ব্যবহারে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যা দুঃখ-দুর্দশা কমিয়ে আনে, আর এগুলোই আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, আমাকে পরের বছরটা বেঁচে থাকতে অনুপ্রাণিত করে ।

আমি অনুপ্রাণিত হই এটা ভেবে যে প্রতিটি ব্যর্থতার মাঝেই রয়েছে বড় কোনো শিক্ষা, আর সফলতা অর্জনের আগে তথাকথিত একটা না একটা ব্যর্থতা তো থাকাই সমীচীন।

আমি নিশ্চিত এটা ভেবে যে, মানুষের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা আসবে আর এটা হলো প্রকৃতিরই নিয়ম আর তাই মানবজীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা কিছুতেই বই পড়ার মাধ্যমে, শিক্ষকের মাধ্যমে হতে পারে না, শিক্ষাটা আসে একেবারে এক বাধার সম্মুখীন হয়ে আবার তা উত্তরে যাওয়ার মাধ্যমে।

আমি বিশ্বাস করি প্রকৃতি মানুষের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা তৈরি করে রাখে, ঠিক যেমন প্রশিক্ষক তার ঘোড়াকে লাফ শেখানোর জন্য সামনে উঁচু উঁচু বাধ তৈরি করে রাখে।

আজ আমার জন্মদিন

ব্যর্থতায় পড়ে গিয়ে জীবনে কি শিক্ষা পেয়েছি তা আমার পাঠকদেরকে জানিয়ে দিলে আমার জন্মদিনটাকে সবচেয়ে ভালোভাবে উদ্‌যাপন হবে বলে আশা করছি।

আসুন আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয় দিয়ে শুরু করা যাক। আমার বিশ্বাস মানুষ তার জীবনে প্রকৃত সুখের অভিজ্ঞতা লাভ করে শুধুমাত্র অন্যকে সুখী করার মাধ্যমে । কাকতালীয় হলেও সত্য যে পঁচিশ থেকে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সটা সবচেয়ে অস্থির সময় আর তাই এ সময়ের মানুষগুলোকে সঠিক সুখের সন্ধানের জন্য আমি সাহায্য করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হলাম, তবে আমি এটা বিশ্বাস করি না যে এটা শুধু কাকতালীয়, এটা এর চেয়ে বেশি কিছু-আমার মতে এটা এ মহাবিশ্বের দিনের আলোর মতোই সত্য ব্যাপার।

আমার অভিজ্ঞতা বলছে, কোনো মানুষ দুঃখের বীজ বপন করা ছাড়া কিছুতেই সুখের ফল পেতে পারে না। কয়েক বছরের কঠিন সাধনা আর অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত যে একজন ব্যক্তিকে যতই ভালো করে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়া হোক না কেন তারপরও সে বারবার ফিরে আসবে হোক কাজটা শুধুমাত্র একটু মাথা খাটানো বা সামান্য কোনো কাজ। যদিও তাকে কাজের চেয়ে অধিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।

অর্থনৈতিক দিক থেকে হিসেব করে পৃথিবীর ইতিহাসের কঠিন সত্যগুলোর মধ্যে একটা সত্য আমি জেনেছি, আর তা হলো যদি সেবাদানকারীকে নিশ্চয়তা দান করা হয় যে সে তার সেবার মূল্য কাজ শেষ হওয়ার পরেই পেয়ে যাবে তবে সে আরো অধিক ও উন্নত সেবা প্রদানে উৎসাহিত হয়। তবে পারিশ্রমিক প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত একটা প্রশ্নতো থেকেই যায়, আসলেই কি তাকে তার প্রকৃত সেবার চেয়ে অধিক পারিশ্রমিক প্রদান করা হবে কিনা।

পারিশ্রমিক যাই হোক, প্রতিটি কাজে এ অভ্যাসটাকে ঢুকিয়ে দিলে লক্ষ্যের দিকে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে, এমন অনেক ব্যাপার আমি এখানে উল্লেখ করিনি তার মধ্যে অন্যতম হলো আর্থিক সফলতা এনে দেবে।

তবে এ আর্থিক সফলতা আমাদের সহকর্মী বা কর্মীদের দ্বারা অঙ্গীকরা বদ্ধতাকে মান্য না করলে তাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেয়ে আরো কম গুরুত্বপূর্ণ। ‘আঘাতের বদৌলতে আঘাত করার অভ্যাসটা হলো আমাদের দুর্বলতা। কারণ এটা অধঃপতনগামী এবং যারা এর চর্চা করে তাদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতির ক্ষেত্রে খুবই ক্ষতিকর।

আমি সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করি, মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুলোর মধ্যে একটা হলো আত্মনিয়ন্ত্রণ। একজন মানুষ যতক্ষণ না আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে অন্য কারও প্রতি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। একটু থেমে বিবেচনা করে দেখুন পৃথিবীর মহান ব্যক্তি তারাই হয়েছেন যারা

নিজেদের ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরাই আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে সঠিক দর্শনটা শিখিয়ে গেছেন, যেমনটা এ গোল্ডেন রুলে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র ধৈর্য্য আর আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তারা মহান হয়েছিলেন।

কঠোর পরিশ্রম, ন্যায়বিচার, সঠিক পরিকল্পনা এবং আগামীদিনের জন্য অতিরিক্ত কাজ না করলে আমি কখনো বিজিত হতে পারতাম না। আমি কঠিন দুঃখ-কষ্ট ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নিজেকে দক্ষ করেছি। শুধুমাত্র শরীরকে নয়, আমার আত্মা ও মনকেও প্রশিক্ষিত করতে হয়েছে।

-থিওডর রুজভেল্ট আমি নিশ্চিত, মানুষের স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন বা পুরো পৃথিবীকে “ঢেলে সাজানোর’ পুরো দায়িত্ব কাঁধে এমন ধারণা নিয়ে জীবন শুরু করা মানে তার জন্য সবচেয়ে বড় ভুল। আমার বিশ্বাস কোনো বাধা না পেলে, প্রকৃতিকে নিজেদের প্রয়োজনে, নিজেদের কাজে লাগানোর জন্য প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিবেগ বিনষ্ট না করলে, প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে সদা পরিবর্তিত হবে। এমন ধারণা পোষণ করা শুধুমাত্র অযৌক্তিক চিন্তাধারা ছাড়া আর কিছুই নয়।

শুধুমাত্র নিজের সন্তুষ্টির জন্য আমাকে শিখতে হয়েছে, যিনি সামান্য কারণে অকারণে তার সহকর্মীদের সাথে অনুভূতির প্রকাশ করেন জীবনে গঠনগত কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন না। এটি জীবন গঠন করার পরিবর্তে আরো পিছিয়ে দেয়।

এ ম্যাগাজিনটার সম্পাদনা যখন শুরু করেছিলাম, তখন আমার জীবন

সম্পাদকীয় পাতায় ব্যয় করার জন্য শপথ নিয়েছিলাম যাতে করে নষ্ট বা ধ্বংস

হয়ে যাওয়া কোনো জিনিসকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারি।

অন্য কিছু নয়, শুধুমাত্র আমার ছত্রিশ বছরের এ ম্যাগাজিনে সময় ব্যয় আমাকে সফল হিসেবে প্রমাণিত করেছে বা আমার জীবনে সত্যিকারের সুখ এনে দিয়েছে। ম্যাগাজিনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হওয়ার সেই প্রথম দিন থেকেই সফলতা আমার দররায় এসেছে যে মনটা আমি আশাও করিনি। শুধুমাত্র যে আর্থিক সফলতা এসেছে তা নয়, বরং সুখ পাওয়া যায় এমন সফলতা আরো অধিক এসেছে যার কারণে আরো অনেকে সুখী হতে পেরেছি।

বহু বছরের অভিজ্ঞতায় আমি বুঝতে পেরেছি, একজন ব্যক্তি যদি তার কোনো শত্রুর বা পক্ষপাতদুষ্ট কোনো ব্যক্তির কথা শুনে তারই কোনো সহকর্মীর উপর কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয় তবে এটা হবে তার নিজের ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা। একজন মানুষ কখনো দাবি করতে পারবে না যে সে সত্যিকারে আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারে বা অন্য কারো প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে শুধুমাত্র তার নিজের জ্ঞানের ব্যবহার করে তার সহকর্মীর মতামতের সত্যিকার গুরুত্ব দিতে পারে।

আমাকে প্রচণ্ড ক্ষতিকর ও ধ্বংসযজ্ঞ আরো একটা স্বভাব থেকে উতরে যেতে হয়েছে এটা হলো এমন কারো প্রতি আমার নিজেকে প্রভাবিত করা যিনি সব সময় দলাদলি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।

বারবার ভুল করার মাধ্যমে আমি একটা বিষয় জানতে পেয়েছি, কোনো কারণ বা অকারণে সহকর্মী বা কর্মীদের গালিগালাজ করা, এমন ভুল করে ব্যক্তিগত কোনো লাভ বা উপকার হয়েছে বলে মনে পড়ছে না, যার কারণে আমি সত্যিকারের সন্তুষ্টি এসেছে বলে মনে হচ্ছে না আর তাই আমার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাকে সবসময় মুখের ভাষা মার্জিত রাখতে হবে যেন আমার সহকর্মী বা কর্মীদের সাথে অপ্রয়োজনে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না।

প্রতিশোধ নেওয়ার নিয়ম-কানুনগুলো জানার পর শত্রুকে বন্ধুতে রূপান্তরিত করা’ এ স্বাভাবিক আচরণটা আমাকে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার ন্যায় অর্থাৎ হয় কথাদিয়ে না হয় কোনো কার্যপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিখতে হয়েছে। এ বাজে কাজটা করতে আমি দক্ষ নই তবে ব্যাপারটা জয় করতে পারা অত্যন্ত ভালো সূচনা বলা যেতেই পারে ।

আমার অভিজ্ঞতা বলছে দুনিয়াতে জন্ম দেওয়া অধিকাংশ মানুষই জন্ম থেকে সৎ, আর যাদেরকে আমরা অসৎ বলি তারা কোনো পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এমনটা হয়েছে যে পরিস্থিতিতে তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। সহকর্মী বা কর্মীরা তাকে যে মর্যাদা দিয়েছে তা ধরে রাখতে চেষ্টা করা একজন মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাধারা আর এ চিন্তাধারা নিয়ে ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতে পারা অত্যন্ত সম্মানজনক এক উৎস বলে মনে হচ্ছে।

আমি নিশ্চিত যদিও পত্রিকার বরাতে বহু মানুষকে কঠিনভাবে আঘাতের অভিজ্ঞতা সহ্য করতে হয় তবুও প্রত্যেক মানুষকে এ তীব্র পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। জীবনে একবার হলেও ভাগ্যকে মেনে নিতে হয় কারণ এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার মাধ্যমে সে জানতে পারবে তার পথ চলার সত্যিকারের বন্ধু কারা। তারাই সত্যিকারের বন্ধু যারা তার এ কঠিন পরিস্থিতির সময়ে নিজেকে আড়াল করে রাখে না।

মানুষের আচরণের প্রকৃতির মধ্যে ছোটখাটো মজার কিছু বৈশিষ্ট্য আমি জেনেছি। যেমন : কোনো মানুষ যদি অন্য কাউকে তার প্রতি আকর্ষিত বা প্রভাবিত করতে পারে তবে তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রায় সবটাই সঠিকভাবে সে বিচার করতে পারে। পুরনো সেই স্বতঃসিদ্ধ কথাটা, “আকেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারীদের মধ্যেই বন্ধুত্ব হয়” একেবারেই পরীক্ষিত সত্য দর্শন ।

যেমনটা বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে এ আকর্ষণের নিয়মের মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় সর্বসময় সকলকে আকর্ষিত করে আসছে যাকে বলা হয় প্রকৃতি। একজন বিশিষ্ট গোয়েন্দা একবার আমাকে বলেছিলেন, সন্ত্রাসীকে খুঁজে বের

করতে এবং যারা দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে এ আকর্ষণ নীতিই তার প্রধান হাতিয়ার।

একজন মানুষের কাছ থেকে আমি শিখেছি, যিনি জনগণের সেবক হওয়ার জন্য আকুল হয়ে থাকেন। আর তাই তাকে অবশ্যই অনেক বেশি ত্যাগী হতে হয়। এবং তারই সহকর্মীর থেকে বিশ্বাস না হারিয়েও সমালোচনার তোপে পড়তে হয়। এমন একজন প্রতিনিধিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি খুব কাছের মানুষের কাছ থেকে আখের গোছানোর জন্য চেষ্টা করেননি আর তাদের কাছ থেকে তিনি সবচেয়ে অধিক সমালোচিত হয়েছেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ জনপ্রতিনিধিরা শুধুই যে তার সেবার সময়ই অনেক বেশি বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন তা নয় এমন বিদ্বেষ যে যার জন্য বর্তমানেও অনেক ভালো প্রতিনিধি তাদের পদও হারাচ্ছেন বরং এ বিদ্বেষের জন্য তাদের জীবনপ্রদীপও নিভে গেছে। অনেককে ক্রুশে ঝুলিয়ে, বর্ষা দিয়ে তার দেহকে ক্ষত বিক্ষত করে, মুখে প্রচণ্ড রকমের আঘাতের পর আঘাত করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। তবুও তার শেষ কথাগুলো অনুসরণ করার এক উজ্জ্বল প্রমাণ দিয়ে গেছেন। এর মধ্যে কিছুটা এমন— “ঈশ্বর তাদেরকে ক্ষমা করুন, কারণ তারা জানে না তারা কি করছে।”

চোখের সামনে সহকর্মী বা কর্মীদের কোনো ভুল দেখলে যখন ক্রোধে রক্ত আমার মাথায় উঠে যায়, তখন শ্রেষ্ঠ সেই দার্শনিকের কথা মনে করে সহিষ্ণু হই এবং ধৈর্যধারণ করি। শ্রেষ্ঠ দার্শনিকেরা পীড়নদানকারীদের দিকে তাকাতেন যারা নিরপরাধ তাকে এমন নিষ্ঠুর আচরণের মধ্যে পড়েও তাদের সুখের জন্য প্রার্থনা করে গেছেন।

অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে যে মানুষ একটা সুযোগ পাওয়ার জন্য আঙুল নিজের দিকে না ঘুরিয়ে পৃথিবীকে দোষারোপ করে তাদের নাম এ শ্রেষ্ঠ মনীষীদের মধ্যে কদাচিৎই দেখা যায়।

“সফলতার জন্য একটা সুযোগ” হলো সেই বিষয় যা প্রত্যেক মানুষ নিজের জন্য নিজেই সৃষ্ট করে নিতে হয়। নির্দিষ্ট কোনো কিছুর জন্য সংগ্রামী না হলে কোনো ব্যক্তিই এ পৃথিবীতে ভালো কিছু অর্জন করার বা এমন কোনো কিছুর যোগ্য হতে পারে না যা অন্য সবাই খুব মর্যাদার চোখে দেখে। সংগ্রামী না হলে খুব সহজেই একজন ব্যক্তি দারিদ্র্য, দুঃখ-কষ্ট আর ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে, কিন্তু ঠিক তার বিপরীত হলে তিনি অবশ্যই তার অধিকার আদায় করে নিতে তৈরি থাকবেন!

আমরা বলছি তার ‘অধিকার’ এ কথাটা লক্ষ্য করুন!

একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় ‘অধিকার’ হলো তার কাজের বিনিময় পাওয়া এবং একটা ব্যাপার মনে রাখা খুব একটা খারাপ বুদ্ধি বলে মনে হয় না,

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *