ওয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি

5/5 - (1 vote)

ওয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি কোথায় কোন পরিবেশে কীভাবে ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করবেন? শুরুতেই আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, সব ধরনের মা পরিবেশে এবং বছরের সবসময় হয় না। একমাত্র ওয়েস্টার মাশরুমের বিভিন্ন জাতসমূহ সারাবছরই কমবেশি চাষ হয়ে থাকে তবে সবচেয়ে ভালো হয় অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে। আমাদের দেশে মাশরুম চাষে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ওয়েস্টার মাশরুম। তাই শুরুতে আমি আপনাদেরকে ওে মাশরুমের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। পরবর্তীতে অন্যান্য মান চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দিতে চেষ্টা করব।

ওয়েস্টার মাশরুম কোথায় চাষ করতে পারবেন?

ওয়েস্টার মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে আলো বাতাস (অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড) তাপমাত্রা আর্দ্রতার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এ সবের মধ্যে লক্ষণীয় বিষয়গুলো ওয়েস্টার মাশরুম চাষঘরের পরিবেশ।

(১) অক্সিজেনের উপস্থিতি ও কার্বন ডাই-অক্সাইডমুক্ত:

মাশরুম ছত্রাকজাতীয় সবজি বিধায় এরা খাবার সংগ্রহ করে কাঠের গুঁড়ার পচন থেকে। মাশরুম যখন ফ্রুটিং বডি (মাশরুমের ফুলের মতো অংশ) তৈরি করে সে সময় প্রচুর অক্সিজেনের দরকার হয়।

অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কাঠের গুঁড়া জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় ভেঙে ৩ বিভিন্ন খাদ্য উপাদান বেরিয়ে আসে যা মাইসেলিয়ামের বাড়তি খাবারের জোগান দিয়ে থাকে। অক্সিজেন না পেলে এ কার্যক্রম ব্যাহত হয় বিধায় ভালো মাশরুম তৈরি হয় না। তাই চাষঘরে প্রচুর অক্সিজেনের দরকার হয়।

একইভাবে মাশরুমের ফ্রুটিং বডি (মাশরুমের ফুলের মতো অংশ) তৈরির সময় জারণ বিজারণের কারণে সেখানে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাই-অক্সাইড ভারী গ্যাস হওয়াতে প্যাকেটের চারপাশে কার্বন-ডাই- অক্সাইডের একটা স্তর তৈরি হয়। ফলে প্যাকেটের পাশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়।

তাই মাশরুম চাষের জন্যে আমাদের এমন একটা ঘর দরকার যেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে। ঠিকমতো আলো বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ঘরে বা এমন জায়গাতে মাশরুম চাষ করা যেতে পারে। তাই মাশরুম চাষের ক্ষেত্রে এই বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। অর্থাৎ মাশরুম চাষের জায়গাতে ভেন্টিলেশন বা আলো বাতাস চলাচলের বিষয়টির দিকে নজর রাখতে হবে।

(২) তাপমাত্রা

ওয়েস্টার মাশরুমের ফ্রুটিংবড়ি গজানোর জন্যে তাপমাত্রার প্রয়োজন হয় ২০-৩০° সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার কমবেশি হলে মাশরুমের ফ্রুটিংবাডি গজানোর ক্ষেত্রেও ভারতম্য হয়। তাই তাপমাত্রার বিষয়টি লক্ষ করা খুব জরুরি।

(৩) আর্দ্রতা

মাশরুম আর্দ্র বা একটু স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া পছন্দ করে। ওয়েস্টার মাশরুমের ফ্রুটিংবডি গজানোর জন্যে ৭০%-৮০% আর্দ্রতা থাকা দরকার। মাশরুম চাষের সময় যখন পানি স্প্রে করা হয় তখন এ বিষয়টির প্রতি নজর দিতে হবে। পানি স্প্রে করাটার দিকে খেয়াল রাখাটাও বেশ জরুরি।

(৪) আলো

মাশরুম চাষের ঘরটিতে এমন আলো থাকতে হবে যেন সেখানে খালি চোখে খবরের কাগজ পড়তে পারা যায়। এই পরিমান আলোর জন্যে আলোর একটা পরিমাপ আছে, তাহলো ৮০-২১০ লাক্স (আলোর একককে Lux বলা হয়)।

তাই ওয়েস্টার মাশরুম চাষের ঘরটা যদি খোলামেলা এবং একটু কম আলোযুক্ত হয় তাহলে ওয়েস্টার মাশরুম চাষে কোনো সমস্যা হয় না। একবার চাষ শুরু করলে আপনার করণীয় সম্পর্কে আপনি নিজেই নির্ধারণ করে ফেলতে পারবেন।

ওয়েস্টার মাশরুম চাষ পদ্ধতি

ওয়েস্টার মাশরুমের চাষ শুরু

মাশরুম চাষের জন্যে জায়গা নির্ধারণ করার পরে আপনাকে মাশরুম সংগ্রহ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিকভাবে অনেকগুলো কাজ করতে হবে। সে সম্পর্কে আমরা জেনে নিতে পারি।

মাশরুমের বীজ প্যাকেট বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ

আপনি নিজে যদি নিজের নিয়ন্ত্রণে মাশরুমের বীজ প্যাকেট তৈরি করে না থাকেন তাহলে আপনাকে সর্বাগ্রে বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মাশরুমের বীজ প্যাকেট বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে।

তারপরেও ভালো স্পন প্যাকেটের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। এ সম্পর্কে আপনার যদি কিছু ধারণা থাকে তাহলে মাশরুমের বীজ প্যাকেট বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করার ব্যাপারে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

মাশরুমের ভালো স্পন প্যাকেটের বৈশিষ্ট্য

(ক) প্যাকেটটি সুষমভাবে সাদা মাইসেলিয়াম দ্বারা পূর্ণ থাকতে হবে; (খ) প্যাকেটটি অসম সাদা অথবা হলুদ, নীল, সবুজ বা কালো রঙের হলে সেটা মানসম্পন্ন প্যাকেট নয় বলে ধরে নিতে হবে;

(গ) প্যাকেটটি যেন ঢিলেঢালা না থাকে, অবশ্যই টাইট থাকতে হবে;

(ঘ) প্যাকেটের গায়ে যদি জাতের নাম ও ইনোকুলেশনের তারিখ লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে সেই প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা রয়েছে।

মাশরুমের বীজ প্যাকেটের পরিবহন

মানসম্পন্ন বীজ প্যাকেট সংগ্রহের পরে সেটা পরিবহনের ব্যাপারে বেশ সতর্ক হতে হবে; নইলে বীজ প্যাকেট থেকে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে না। স্পন প্যাকেট পরিবহনের সময় যে বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে তা হলো:

(ক) মানসম্পন্ন মাশরুম বীজ সংগ্রহের পরে যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে পরিবহন করতে হবে;

(খ) দূরবর্তী স্থানে পরিবহন করতে হলে কখনো যানবাহনের ছাদে পরিবহন করা যাবে না;

(গ) পরিবহনের সময় যতটা সম্ভব স্পন প্যাকেট কম নাড়াচাড়া করতে হবে;

(ঘ) বৃষ্টির মধ্যে যেন প্যাকেটের গায়ে বৃষ্টির পানি না লাগে সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে;

(ঙ) বাতাস চলাচল করতে পারে এমন কার্টুনের মধ্যে পরিবহন করাটা উত্তম।

প্যাকেট কর্তন

ভালোভাবে মাশরুম প্যাকেট নিয়ে আসার পরে বাসাতে অবশ্যই ঠান্ডা জায়গাতে রাখতে হবে। যদি প্যাকেটগুলো আনার পরে মনে হয় কয়েকদিন পরে সেগুলো কর্তন করতে হবে তাহলে সবচেয়ে ভালো প্যাকেটগুলো আলাদা করে। ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দেওয়া।

যদি ঘরের তাপমাত্রা ২৫° সেলসিয়াস থাকে তাহলে প্যাকেটগুলো কাটার আগে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মাইসেলিয়াম রান করা প্যাকেট কাটার আগে প্যাকেটের মুখের প্লাস্টিক নেক খুলে নিয়ে রাবার ব্যান্ড দিয়ে দিয়ে মুখ আটকিয়ে নিয়ে প্যাকেটের ঘাড়ের কাছে ইংরেজি ডি (D) অক্ষরের মতো করে কেটে একটু চেঁছে দিতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট পানিতে চুবিয়ে আরও ১৫ মিনিট প্যাকেটগুলো উলটো করে রেখে অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে ফেলে র‍্যাকে সাজাতে হবে।

র্যাকে সাজানো মাশরুমের পরিচর্যা

চাষঘরে অথবা র্যাকে মাশরুম স্পন ২ ইঞ্চি পর পর সাজিয়ে পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। স্পন প্যাকেটের চারপাশে আদ্রতা ৭০-৮০% রাখার জন্যে গরমের সময় দিনে ৪/৫ বার এবং শীত ও বর্ষায় দিনে ২/৩ বার পানি স্প্রে করতে হবে যেন প্যাকেট ও এর আশপাশে ভেজা ভেজা ভাব থাকে, কিন্তু পানি যেন জমে না থাকে।

স্প্রে করার সময় স্প্রেয়ারের নজল ১ ফুট ওপরে রেখে পানি এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যেন কাটা জায়গার ওপরে গজানো মাশরুমের ছোটো অঙ্কুর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তবে সূর্য ডোবার আগে এবং সূর্য ডোবার পরে স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

এছাড়া অর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্যে কখনো স্পন প্যাকেটের ওপরে খবরের কাগজ ভিজিয়ে, কখনো লম্বা পলিথিন শীট ছিদ্র করে, কখনো পুরো চটের বস্তা ভিজিয়ে প্যাকেটের একটু ওপরে রেখে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। পানিতে চুবানো

গরমের দিনে তাপমাত্রা বেশি বৃদ্ধি পেলে স্প্রে মেশিন দিয়ে বৃষ্টির মতো ঘরের দেওয়াল এবং মেঝে কয়েকবার ভিজিয়ে দিলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক ফ্যান ছেড়ে দিয়েও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে বৈদ্যুতিক ফ্যান বেশিক্ষণ চালিয়ে রাখা যাবে না।

সবচেয়ে ভালো চাষঘরে অটো টাইমারসহ ফগার মেশিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। স্বয়ংক্রিয় টাইমারসম্পন্ন ফগার মেশিনের দামও খুব বেশি না।

আর এটা করলে আপনাকে মাশরুমে পানি স্প্রে করা নিয়ে আপনাকে মোটেও ভাবতে হবে না, সেইসাথে মাশরুমে স্প্রে করার কাজটি নিখুঁতভাবে করা সম্ভব। অধিকন্তু, মাশরুমের অন্যান্য পরিচর্যার মধ্যে অন্যতম হলো: মাশরুম খুব স্পর্শকাতর সবজি তাই মাশরুম ঘরের চারপাশে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

প্যাকেট কর্তনের পরে ২/৩ দিনের মধ্যে যদি মাশরুমের অঙ্কুর আলপিনের মতো না গজায় তাহলে বুঝতে হবে পরিচর্যা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভালোমতো পরিচর্যা করলে ৫-৭ দিনের মধ্যেই খাবার উপযোগী মাশরুম সংগ্রহ করা যাবে। মাশরুমের পূর্ণাঙ্গ গাইড-০৫

যদি প্রতিপাশের কাটা অংশে অনেকগুলো অঙ্কুর থাকে তাহলে ছোটো ছোটো অঙ্কুরগুলো ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে ৮-১২ টি ফ্রুটিং বড়ি রাখলেই ভালো হবে। প্রথমবার মাশরুম তোলার পরে একদিন বাদে কাটা জায়গায় চামচ দিয়ে আবার খানিকটা চেঁছে আবার আগের নিয়মে পানি স্প্রে করতে হবে।

• একটা প্যাকেট থেকে যদি এভাবে ৮/১০ বার মাশরুম সংগ্রহ করা যায়। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার জন্যে ৫/৬ বার মাশরুম সংগ্রহ করা সবচেয়ে ভালো। এভাবে চাষ করলে প্রতি প্যাকেট থেকে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম সংগ্রহ করা যায়। ভালো মানের মাশরুম পাওয়ার জন্যে মাশরুম সংগ্রহ করার আগে অন্তত ১২-১৫ ঘণ্টা আগে পানি স্প্রে বন্ধ করে দিতে হবে।

• একটা প্যাকেট থেকে ৭৫-৯০ দিন পর্যন্ত মাশরুম সংগ্রহ করা যায়; যদি প্যাকেট ততদিন সাদা থাকে। স্পন প্যাকেট থেকে মাশরুম সংগ্রহ শেষ হলে পিপি প্যাকেট চাষঘর থেকে। বের করে পিপি প্যাকেট খুলে কাঠের গুঁড়ার কম্পোস্ট একটা গর্তে ফেলে দিলে সেটা থেকে ভালোমানের জৈব সার পাওয়া সম্ভব হবে।

• আগেই বলেছি মাশরুম যেহেতু খুবই স্পর্শকাতর সবজি তাই সব ব্যবস্থা খুব সাবধানতার সাথে করলে সেখান থেকে ভালোমানের মাশরুম পাওয়া সম্ভব। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। পিনতে শাপ চিত্র-: মাশরুমের বিভিন্ন বৃদ্ধি পর্যায় পোযোগী মাশরুম

খড়ে ওয়েস্টার মাশরুমের চাষ

আমাদের দেশের ধানের খড় অত্যন্ত সহজলভ্য, সারাবছরই পাওয়া যায় এই খড়। আবার গরমের মৌসুমে গমের খড় পাওয়া যায় খুব সহজে। সহজলভ্য এই যতে অনায়াসে বেশ সহজভাবেই ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা যায়। সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে এই পদ্ধতিতে, ১ কেজি শুকনা ধান বা গমের খড় থেকে ১ ওয়েস্টার মাশরুম পাওয়া সম্ভব। শীতকালে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চাষ করে ভালো 1 কেজি।

ফলন পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালে ভালো ফলন পেতে হলে জীবাণুমুক্তকরণের ওপরে নজর দিতে হবে। খড়ে মাশরুম চাষ করার জন্যে দরকার গমের খড়, পিপি ব্যাগ এবং বিশুদ্ধ পানি।

খড়ে ওয়েস্টার মাশরুমের স্পন তৈরির পদ্ধতি

স্পন প্যাকেট তৈরির আগে ধান বা গমের খড় ১-৩ ইঞ্চি পরিমাণ টুকরা করে কেটে নিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার জন্যে ব্যবহার করা যেতে পারে:

(ক) অটোক্লেভ; (খ) পানিতে সিদ্ধ:

(গ) গরম বাষ্প প্রয়োগ; (ঘ) চুন প্রয়োগ এবং

ঙ) রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাভিস্টিন ও ফরমালিন ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে ভালো অটোক্লেভ ব্যবহার করা।

প্রথমে শুকনা খড় (ধান বা গমের) ১-৩ ইঞ্চি পরিমাণ করে কেটে নিতে হবে। এরপর এসব টুকরা বড়ো কোনো সসপেন বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে বা টিনের বড়ো ড্রামে ৬০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ ঘন্টা চুবিয়ে রাখতে হবে। এ সময় লক্ষ রাখতে হবে তাপমাত্রা যেন কখনো ৫৭° সেলসিয়াসের নিচে না নেমে আসে।

তাপমাত্রা ৫৫° সেলসিয়াসের এর নিচে নামলে আবার হিট দিতে হবে। এরপর খড় থেকে পানি ঝরাতে হবে। পানি ঝরানোর পরে খড়ে এই পরিমাণ পানি থাকতে হবে যেন হাতে চাপ দিলে পানি আঙুলের ফাঁক দিয়ে বের হবে কিন্তু ফোঁটায় ফোঁটায় পড়বে না; এই অবস্থা আসতে যতটা সময় ব্যয় হোক না কেন, কোনো অসুবিধা নেই। এই অবস্থায় ৭০% আর্দ্রতা বজায় থাকে বলে মনে করা হয়। তবে ৭০% আর্দ্রতা থাকা অবস্থায় খড়ে মাদার কালচার ইনুকুলেশন করতে হবে।

বিশেষ সতর্কতা

খড়ে মাশরুমের স্পন প্যাকেট করার সময় বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে: (ক) খড়গুলো যেন সুন্দর চকচকে ও পরিচ্ছন্ন হয়; (খ) পানির তাপমাত্রা কখনোই ৬০° সেলসিয়াসের ওপরে যেন না যায় আবার ৫৫° সেলসিয়াসের এর নিচে যেন না আসে। সিদ্ধ করা খড় থেকে পানি ঝরানোর সময়টুকু বেশি করে লক্ষ রাখতে হবে যেন খড়ের আর্দ্রতা ৭০% থাকে।

খড়ে মাদার কালচার ইনুকুলেশন

পানি ঝরানো খড় অবশ্যই জীবাণুমুক্ত পরিবেশে ১৮ ইঞ্চি×১২ ইঞ্চি আকারের পিপি ব্যাগে প্রতি ১০ সেমি পুরো করে খড় বিছানোর পরে মাদার কালচার একটু একটু করে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে কমপক্ষে তিনটি স্তরে মাদার কালচার ছিটিয়ে দিতে হবে। ১৮ ইঞ্চিx১২ ইঞ্চি আকারের পিপি ব্যাগ ভরতে ১৫০-২০০ গ্রাম মাদার কালচারের প্রয়োজন হতে পারে। মাইসেলিয়ামের দ্রুত বৃদ্ধির জন্যে খড়ের সঙ্গে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ধানের কুড়ো, গমের ভুসি, ভুট্টার পাউডার, ঝোলাগুড় মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। খড়ের প্যাকেটের মুখগুলো আগের মতোই নেক, রাবার ব্যান্ড, এবজরবেন্ট কটন ও ব্রাউন পেপার দিয়ে মুখ

Leave a Comment

Share via
Copy link